জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic engineering) কি?
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে কোনাে প্রাণী বা উদ্ভিদ কোষে নতুন ডিএনএ (DNA) সংযােজন করার কৌশল বা পদ্ধতি। জিন প্রাণীর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রচেষ্টা অধিকাংশে কৃষির উপর জোরদার করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিকূল আবহাওয়ায় পােকা, রােগ, ছত্রাক ইত্যাদি প্রতিরােধী উদ্ভিদ জন্মাতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা মানুষ যেমন উপকার পাচ্ছে তেমনি অনেক বিজ্ঞানীর মতে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অনেক নতুন রােগ জীবাণুর জন্ম হতে পারে। বিজ্ঞান চর্চার প্রাথমিক যুগের সূচনা ঘটেছিল গণিত চর্চার মধ্য দিয়ে। মধ্যযুগে তা পদার্থবিদ্যার বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। ধীরে ধীরে নিউটন, গ্যালিলিও, আইনস্টাইন, বােরের তত্ত্ব একে আধুনিক যুগে নিয়ে আসে। কিন্তু ১৯২০-এর আবিষ্কারের ধারা কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তখন বিজ্ঞানীরা ঝুঁকতে থাকে পরিবেশ, পৃথিবী, মানুষ, জীবজগৎ নিয়ে গবেষণার দিকে। বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীকে তাই নিঃসন্দেহে বলা হচ্ছে The Century of Biological Science। এর কারণ ১৮৭২ সালে পল বার্গের রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনােলজি বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর আবিষ্কার।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত ট্রান্সজেটিক (উন্নত বৈশিষ্টধারী) উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টিতে কাজ করে। নামের শেষে ইঞ্জিনিয়ারিং যােগ করার কারণ হচ্ছে জীববিজ্ঞানের কেবলমাত্র এ শাখাটিতেই নিজের ইচ্ছামত ডিজাইন করে এক একটি প্রাণী সৃষ্টি করা যায় ও ডিজাইন করা যায়। একবার এক বিজ্ঞানী ঠিক করলেন ছাগলের দুধের মধ্যে তিনি মাকড়সার জালের মত সুতা তৈরি করবেন যা হবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুতা। তিনি সফল হয়েছিলেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে এবং সৃষ্টি করেছিলেন বায়ােস্টীল।
Comments
Post a Comment