ব্যান্ডউইথ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী?

একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন চ্যানেল দিয়ে যে পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হয় তার পরিমাণকে ব্যান্ডউইথ হিসেবে পরিমাপ করা হয়। ডেটা ট্রান্সমিশন-এর একককে bps (bit per second)-এ হিসাব করা হয়। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা বিট স্থানান্তরিত হয় তাকে bps বলে। এটিকে Band বা Bandwidth বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট সার্ভিসের স্পিড বুঝাতে ব্যান্ডউইথ হিসাব ব্যবহৃত হয়। উচ্চ-ব্যান্ডউইথ হলে দ্রুতগতির সার্ভিস পাওয়া যায়। ডায়াল-আপ ইন্টারনেট সার্ভিস হলো কম-ব্যান্ডউইথ (low-bandwidth) কানেকশন। ব্রডব্যান্ড যেমন, ডিএসএল, ক্যাবল এবং স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সার্ভিস হলো উচ্চ-ব্যান্ডউইথ (high-bandwidth) কানেকশন। অনেক ডিএসএল সার্ভিস প্রোভাইডাররা উচ্চ-ব্যান্ডউইথ যেমন ৭৬৮ কেবিপিএস বা তার চেয়েও বেশি অফার করে। ক্যাবল ইন্টারনেট সার্ভিস শুরু হয় ১ এমবিপিএস দিয়ে এবং ৩০ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিড দিয়ে থাকে। উচ্চ ব্যান্ডউইথ ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে অনেক বেশি ডেটা দ্রুত সময়ে ডাউনলোড ও আপলোড করা যায়, ইন্টারনেটে স্বাচ্ছন্দ্য ভিডিও দেখা যায় এবং অডিও শোনা যায়।

ব্যান্ডউইথ এর প্রকারভেদ
ডেটা ট্রান্সফার গতির উপর ভিত্তি করে ব্যান্ডউইথকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা–

  1. ন্যারোব্যান্ড (Narrowband)
  2. ভয়েসব্যান্ড (Voiceband)
  3. ব্রডব্যান্ড (Broadband)
ন্যারোব্যান্ড (Narrowband) : ন্যারোব্যান্ড সাধারণত ৪৫ থেকে ৩০০ bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ব্যান্ড ধীর গতিসম্পন্ন ডেটা ট্রান্সমিশন এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত টেলিফোনির ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডটির ব্যবহার অধিক লক্ষ করা যায়। টেলিফোনির ক্ষেত্রে ন্যারোব্যান্ড সাধারণত ৩০০ থেকে ৩৪০০ হার্টজ (Hz) ফ্রিকুয়েন্সি প্রদান করে থাকে।
ভয়েসব্যান্ড (Voiceband) : ভয়েসব্যান্ডের গতি সাধারণত 9600 bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। টেলিফোন লাইনে এই ব্যান্ডে সাধারণত 200 থেকে 3600 হার্টজ ফ্রিকুয়েন্সিতে তথ্য স্থানান্তর করা যায়। টেলিফোনির ক্ষেত্রে ফ্রিকুয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং এ সাধারণত 4 কিলোহার্টজ ক্যারিয়ার স্পেসিং ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে অথবা কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও ভয়েসব্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ব্রডব্যান্ড (Broadband) : উচ্চ গতিসম্পন্ন ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ব্রডব্যান্ডে বিস্তৃত ব্যান্ডউইথ এবং অধিক তথ্য বহনের ক্ষমতা থাকে। এ ব্যান্ডের গতি 1 mbps (মেগাবাইট/সেকেন্ড) বা এর চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন বা ডিএসএল, রেডিওলিঙ্ক, অপটিক্যাল ফাইবার, মাইক্রোওয়েভ এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ডেটা স্থানান্তরে এ ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

আলোর প্রতিফলন কি? আলোর প্রতিফলন কত প্রকার ও কি কি?

৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর