পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র ১০ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। আদর্শ গ্যাস কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল গ্যাস সকল তাপমাত্রা ও চাপে বয়েল ও চার্লসের সূত্র মেনে চলে, তাদেরকে আদর্শ গ্যাস বলে।


প্রশ্ন-২। কত সালে রেনো গ্যাসের চাপ তাপমাত্রার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেন?

উত্তরঃ ১৮৪২ সালে রেনো গ্যাসের চাপ তাপমাত্রার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেন।


প্রশ্ন-৩। কে গ্যাসের যৌগিক স্বীকার্যগুলো বর্ণনা করেন?

উত্তরঃ ক্লসিয়াস গ্যাসের যৌগিক স্বীকার্যগুলো বর্ণনা করেন।


প্রশ্ন-৪। গ্যাসের ক্ষেত্রে বয়েলের সূত্র বিবৃত কর।

উত্তরঃ স্থির তাপমাত্রায় কোনো গ্যাসের আয়তন এর চাপের ব্যস্তানুপাতিক।


প্রশ্ন-৫। গ্যাস কী?

উত্তরঃ সাধারণ তাপমাত্রা ও চাপে যে সকল পদার্থ বায়বীয় অবস্থায় থাকে তাদের গ্যাস বলে।


প্রশ্ন-৬। পরম তাপমাত্রায় চাপের সূত্র বিবৃত কর।

উত্তরঃ স্থির আয়তনে নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের চাপ এর পরম তাপমাত্রার সমানুপাতিক।


প্রশ্ন-৭। ক্রান্তি চাপ কাকে বলে?

উত্তরঃ ক্রান্তি তাপমাত্রায় যে চাপ প্রয়োগে গ্যাসকে তরলে পরিণত করা যায় তাকে ক্রান্তি চাপ বলে।


প্রশ্ন-৮। পরম আদ্রতা কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো স্থানের বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে তাকে ঐ স্থানের পরম আদ্রর্তা বলে।


প্রশ্ন-৯। আপেক্ষিক আদ্রতা কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো স্থানে নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাম্পের ভর ও বায়ুর তাপমাত্রায় ঐ আয়তনের বায়ুর সম্পৃক্ত জলীয় বাষ্পের ভরের অনুপাতকে ঐ স্থানের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে।


প্রশ্ন-১০। আদ্রতামাপক যন্ত্র বা হাইগ্রোমিটার কাকে বলে?

উত্তরঃ বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা নির্ণয়ের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তাকে আদ্রতামাপক যন্ত্র বা হাইগ্রোমিটার বলে।


প্রশ্ন-১১। স্বাভাবিক তাপমাত্রা কাকে বলে?

উত্তরঃ যে তাপমাত্রায় স্বাভাবিক চাপে পানি জমে বরফ হয় বা বরফ গলে পানি হয় তাকে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বলে।


প্রশ্ন-১২। সার্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক কাকে বলে?

উত্তরঃ এক মোল আদর্শ গ্যাসের জন্য PV/T অনুপাতের মানকে সার্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক বলে। এর মান 8.31 J⋅mol−1k−1


প্রশ্ন-১৩। প্রমাণ চাপ কী?

উত্তরঃ সমুদ্রপৃষ্ঠে 45° অক্ষাংশে 0°C তাপমাত্রার 760 mm বিশুদ্ধ পারদস্তম্ভে চাপকে প্রমাণ চাপ বলা হয়।

 

প্রশ্ন-১৪। শিশিরাংক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে তাপমাত্রায় কোনো স্থানের বায়ুর মধ্যে উপস্থিত জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়ে শিশির জমতে শুরু করে তাকে শিশিরাঙ্ক বলে।


প্রশ্ন-১৫। গ্যাস ও বাষ্পের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।

উত্তরঃ কোনো পদার্থের তাপমাত্রা এর ক্রান্তি তাপমাত্রা অপেক্ষা কম হলে তাকে বাষ্প বলে। আর কোনো পদার্থের তাপমাত্রা এর ক্রান্তি তাপমাত্রা অপেক্ষা অধিক হলে তাকে গ্যাস বলে। তাপমাত্রা ঠিক রেখে গ্যাসকে শুধু চাপ প্রয়োগে তরলে পরিণত করা যায় না, বাষ্পকে তরলে পরিণত করা যায়।


প্রশ্ন-১৬। কোনো স্থানে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা 70% বলতে কী বুঝায়?

উত্তরঃ কোনো স্থানে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা 70% বলতে বুঝায়, ঐ তাপমাত্রায় ঐ স্থানের বাতাসকে সম্পৃক্ত করতে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প দরকার তার শতকরা 70 ভাগ জলীয় বাম্প ঐ মুহূর্তে ঐ স্থানের বায়ুতে রয়েছে।


প্রশ্ন-১৭। আর্দ্রতামাপক যন্ত্র বা হাইগ্রোমিটার কি?

উত্তরঃ বায়ুতে আপেক্ষিক আর্দ্রতা নির্ণয়ের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তাকে হাইগ্রোমিটার বলে। এটি সর্বাপেক্ষা সরল আকৃতির আর্দ্রতামাপক যন্ত্র বলে আবহাওয়া অফিস, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানাগারে ব্যবহৃত হয়। এ যন্ত্রকে মেসলের আর্দ্রতামাপক যন্ত্র বা সাইকোমিটারর বলা হয়। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের উপর পানির বাষ্পীভবনের হার নির্ভর করে। আর্দ্র ও শুষ্ক বালব আর্দ্রতামাপক যন্ত্রের কার্যপদ্ধতি উপরিউক্ত নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত।

Comments

Popular posts from this blog

ব্যান্ডউইথ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী?

আলোর প্রতিফলন কি? আলোর প্রতিফলন কত প্রকার ও কি কি?

৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর