ইন্টারনেট (Internet) কি? ইন্টারনেটের প্রয়োগ
ইন্টারনেট হলাে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে থাকা কম্পিউটারগুলাের একটি আন্তঃসংযােগ ব্যবস্থা যা ব্যবহারকারীদের একাধিক চ্যানেলে তথ্য ভাগাভাগি করার সুযােগ দেয়। টিসিপি/আইপি ব্যবহার করে একাধিক নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযােগ করার বিশেষ পদ্ধতি হলাে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের উপাদান হলাে এর ব্যবহারকারী, তথ্য, টেলিযােগাযােগ ব্যবস্থা, কম্পিউটার প্রভৃতি। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের আভ্যন্তরীণ যােগাযােগ ব্যবস্থা গড়ে তােলার উদ্দেশ্যে এর পত্তন ঘটে। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক হিসেবে ইন্টারনেটকে অভিহিত করা হয়ে থাকে। কারণ বর্তমানে ইন্টারনেট সারা পৃথিবীকে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। ইন্টারনেটে সংযুক্ত কোনাে কম্পিউটার বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য সার্ভার ও কম্পিউটার থেকে তথ্য অ্যাকসেস করতে পারে।
ইন্টারনেটের প্রয়োগ
- যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা ইন্টারনেটের সাহায্যে মোবাইল ও কম্পিউটারে ই-মেইল, টেলিকনফারেন্সিং ও ভিডিও কনফারেন্সিং সুবিধা পেয়ে থাকি। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও রয়েছে।
- কর্মসংস্থানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা দেশের ও দেশের বাইরের বিভিন্ন অফিসের সাথে যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারছি।
- চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারছি এবং বিশ্বের বড় বড় ডাক্তারদের পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা নিতে পারছি।
- ব্যবসা-বাণিজ্য এখন আর শুধু নির্দিষ্ট দোকান বা ব্যবসার কেন্দ্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কোনো পণ্য বা সেবা কেনা বেচাকে বলা হয় ই-কমার্স।
- বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এনেছে ভিন্ন মাত্রা। অনলাইন গেইম থেকে শুরু করে যে কোনো সময় যে কোনো বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, গান, মুভি সবই আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে উপভোগ করতে পারি।
- সংবাদ মাধ্যমও ইন্টারনেটের ফলে অনেকটা মজবুত হয়েছে। কারণ মুহুর্তের মধ্যেই বিশ্বের যে কোনো স্থানে ঘটে যাওয়া সব খবর আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারি।
- কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন পরামর্শ ও টিপসও ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যায়। পণ্যের বাজার দর ও কেনাবেচা সংক্রান্ত তথ্য জানা যায়।
Comments
Post a Comment