Posts

Featured Post

পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

ব্যতিচার কাকে বলে? উত্তরঃ দুটি সুসঙ্গত উৎস থেকে নিঃসৃত কিন্তু একই তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং সমান বা প্রায় সমান বিস্তারবিশিষ্ট দুটি আলোক তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে কোনো বিন্দুর আলোক তীব্রতা বৃদ্ধি পায় আবার কোনো বিন্দুর তীব্রতা হ্রাস পায়। এর ফলে কোনো তলে পরপর আলোকোজ্জ্বল ও অন্ধকার অবস্থার সৃষ্টি হয়। কোনো স্থানে বিন্দু থেকে বিন্দুতে আলোর তীব্রতার এই পর্যায়ক্রমিক তারতম্যকে আলোর ব্যতিচার বলে। ব্যতিচারের শর্ত কী কী? উত্তরঃ  ব্যতিচারের শর্ত হলো- ১। আলোর উৎস দুটি সুসঙ্গত হতে হবে। ২। যে দুটি তরঙ্গ ব্যতিচার ঘটাবে তাদের বিস্তার সমান বা প্রায় সমান হতে হবে। ৩। উৎসগুলো খুব কাছাকাছি অবস্থিত হতে হবে। ৪। উৎসগুলো খুব সূক্ষ্ম হতে হবে। ধ্বংসাত্মক ব্যতিচার কাকে বলে? উত্তরঃ একটি তরঙ্গ যখন অন্য একটি তরঙ্গের ওপর আপতিত হয়ে ব্যতিচার ঘটায় তখন কোনো স্থানে তরঙ্গদ্বয় পরস্পর বিপরীত দশায় মিলিত হলে ঐ স্থানে লব্ধি তরঙ্গের বিস্তার/তীব্রতা সর্বনিম্ন হয়। একে ধ্বংসাত্মক ব্যতিচার বলে। গঠনমূলক ব্যতিচার কাকে বলে? উত্তরঃ দুইটি উৎস থেকে নিঃসৃত কিন্তু একই তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এবং সমান বা প্রায় সমান বিস্তার বিশিষ্ট দুইটি আলোক তরঙ্গের উপরিপাতনে...

রচনা বলতে কি বুঝায়? রচনার অর্থ কি? প্রবন্ধ বা রচনা কী?

'রচনা বলতে গেলে ভাবের সাথে ভাব প্রকাশের উপায় দুটোকে সম্মিলিতভাবে বুঝায়; কিন্তু বিশেষ করে উপায়টাই লেখকের।' -রবীন্দ্রনাথ। রচনা :  রচনা এক প্রকার শিল্পকর্ম। ছবি-আঁকা, গান-গাওয়া, নির্মাণ— এগুলো শিল্পকর্ম। ছবি আঁকতে গেলে রং ও রেখার দরকার; কিন্তু রং ও রেখাই ছবি নয়— তার অতিরিক্ত কিছু। ছবি আঁকার পূর্বে তোমাকে মনে মনে ভেবে নিতে হয়, তুমি কি আঁকবে। রঙে ও রেখায় আঁকার পূর্বেই তোমার মনে সে ছবি আঁকা হয়ে যায়। তেমনি গান গাইতে গেলে কথা ও সুরের দরকার; কিন্তু গান হল কথা ও সুরের অতিরিক্ত জিনিস। মূর্তি নির্মাণ করতে গেলে পাথর কিংবা বাশ, খড়, দড়ি, মাটির দরকার; কিন্তু মূর্তি হল তাদের অতিরিক্ত কিছু— পাথর কিংবা বাঁশ, খড়, দড়ি, মাটি মূর্তি নয়। রচনাও তেমনি বাক্য, তথ্য বা ঘটনার বিবরণ মাত্র নয়; এদের অতিরিক্ত অন্য কিছু। শিল্পকাজে যেমন পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং একাগ্রতা দরকার, রচনা-কর্মেও তেমনি দরকার পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং একাগ্রতা। ‘রচনা’র অর্থ :  ‘রচনা’ কথাটির অর্থ ‘বিন্যাস’ বা ‘সৃষ্টি’। বিন্যাস বলতে একটি নির্দিষ্ট ছাঁচে সাজিয়ে একটি সুন্দর কিছু গড়ে তোলা বোঝায়। যেমন— ফুলের তোড়...

অষ্টম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। ২০-৩০% অটিস্টিক শিশুর বুদ্ধিবৃত্তীয় অক্ষমতা থাকে না- এ ধরনের অটিজমকে কী বলা হয়? উত্তর : অ্যাসপারগার সিনড্রোম। প্রশ্ন-২। বুদ্ধাংককে সংক্ষেপে কী বলা হয়? উত্তর : আইকিউ (IQ) প্রশ্ন-৩। প্রতিভাবান শিশুদের আইকিউ (IQ) কত? উত্তর : ১৩০-এর ওপর। প্রশ্ন-৪। প্রতিভাবান শিশুরা নিজের ক্লাসের চেয়ে কয় ক্লাসের ওপরের পড়া বুঝতে পারে? উত্তর : ২-৩ ক্লাস। প্রশ্ন-৫। কোন শিশুদের চিন্তাগুলোতে নিজস্বতা বেশি থাকে? উত্তর : প্রতিভাবান শিশু। প্রশ্ন-৬। কত বছর বয়সের মধ্যে অটিজমের লক্ষণ প্রকাশ পায়? উত্তর : প্রায় দেড় থেকে তিন বছর। প্রশ্ন-৭। শিশু বিকাশের কয়টি ক্ষেত্রে অটিজম প্রভাব ফেলে? উত্তর : ৩টি। প্রশ্ন-৮। অটিজম শিশুর ক্ষেত্রে মেয়ে ও ছেলেশিশুর অনুপাত কত? উত্তর : ১ : ৪। প্রশ্ন-৯। কত তারিখে অটিস্টিক সচেতনতা দিবস পালন করা হয়? উত্তর : ২ এপ্রিল। প্রশ্ন-১০। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু কাকে বলে? উত্তরঃ যেসব শিশু শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিগত দিক থেকে সমাজের অন্যান্য সাধারণ শিশু থেকে আলাদা এবং তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা, যত্ন ও পরিচর্যার দরকার হয় তাদেরকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু বলে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু হলো– প্রতিবন্ধী, অ...

ই-গভর্ন্যান্স বলতে কি বুঝ? বাংলাদেশে ই-গভর্ন্যান্স এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো।

দেশের শাসন ব্যবস্থায় ও প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল সিস্টেমের প্রয়োগই হচ্ছে  ই-গভর্ন্যান্স । বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য ই-গভর্ন্যান্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা নিচে তুলে ধরা হলো– আগে যেকোনো সরকারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার সাত দিন পরেও দূরবর্তী গ্রামে থাকা শিক্ষার্থীরা তা জানতে পারতো না। কিন্তু এখন ফল প্রকাশের সাথে সাথে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের এসএমএস এর মাধ্যমে তা সবাই জানতে পারে সহজেই। ই-গভর্ন্যান্স এর জন্য বর্তমানে যে কোনো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে ভর্তির আবেদন না করে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের এসএমএস এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল সেবা অল্প সময়ে, কম খরচে এবং ঝামেলাহীনভাবে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল অনলাইনে ও মোবাইল ফোনের এসএমএস এর মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ই-গভর্ন্যান্স চালুর ফলে সরকারি দপ্তর সমূহের মধ্যে আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

স্প্রেডশিট (Spreadsheet) কি?

স্প্রেডশিট  (Spreadsheet) এক বিশেষ ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা কাগজের ওয়ার্কশিটের নকল বা সিমুলেশন। স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম টেবিল বা সারণি আকারে তথ্য সন্নিবেশ ও উপস্থাপন এবং এগুলোর ওপর গাণিতিক বিভিন্ন অপারেশন প্রয়োগ ও বিশ্লেষণের ব্যবস্থা থাকে। মাইক্রোসফট এক্সেল, অ্যাপল নাম্বার্স, ওপেন অফিস, অর্গ ক্যাল্ক, গনুমেরিক ইত্যাদি কিছু প্রচলিত স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম।

এলইডি (LED) কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার

লাইট ইমিটিং ডায়োডকে সংক্ষেপে এলইডি বলে। ফরোয়ার্ড বায়াসের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের ফলে এটি হতে আলোকরশ্মি নির্গত হয়। এলইডি এর বৈশিষ্ট্য (i) দ্রুত অন-অফ সুইচিং হয়। (ii) এটি দীর্ঘায়ু হয়। (iii) ভোল্টেজ খরচ কম হয়। (iv) ইনফ্রায়েড আলো পাওয়ার জন্য গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ব্যবহার করা হয়। এলইডি এর ব্যবহার নিচে এলইডি এর তুলে ধরা হলো: (ক) ডিকেইড ইন্সট্রুমেন্টে ডিজিটাল ডিসপ্লে করার জন্য। (খ) ডিজিটাল ঘড়িতে। (গ) কম্পিউটারে। (ঘ) যে সমস্ত কৌশলে অদৃশ্য আলোক ব্যবহৃত হয় তাতে। (ঙ) বার্গলার অ্যালার্ম সিস্টেমে LED ব্যবহার করা হয়। (চ) ইমেজ সেনসিং সার্কিটে পিকচার ফোন হিসাবে। (ছ) অপটিক্যাল কম্যুনিকেশন সার্কিটে সিলিকা ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলে LED ব্যবহার করা হয়।

নিউক্লিয়াস (Nucleus) কি? নিউক্লিয়াসের গঠন, কাজ ও গুরুত্ব।

নিউক্লিয়াস (Nucleus)  হল প্রোটোপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন, প্রায় গোলাকার এবং দ্বি-একক পর্দা ঘেরা অংশ। এটি চারটি অংশ নিয়ে গঠিত। নিউক্লিয়পর্দা: নিউক্লিয়াসকে ঘিরে অবস্থিত সচ্ছিদ্র, প্রোটিন ও লিপিড নির্মিত দ্বি-একক পর্দা। নিউক্লিওলাস: নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থিত RNA ও প্রোটিন নির্মিত সবচেয়ে ঘন ও গোলাকার অংশ। নিউক্লিওপ্লাজম: নিউক্লিয়াসের অন্তর্গত অর্ধস্বচ্ছ, অর্ধতরল ধাএ যার মধ্যে ক্রোমাটিন সূত্রগুলি অবস্থিত থাকে। নিউক্লিয় জালিকা: ইন্টারফেজ দশা নিউক্লিওপ্লাজমে অবস্থিত নিউক্লিওপ্রোটিন দ্বারা নির্মিত পেঁচানো সূত্রাকার অংশ। কাজ:  কোষের বিপাক নিয়ন্ত্রণ, কোষ বিভাজন, বংশগতির বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় বহন করা। নিউক্লিয়াসের গুরুত্ব নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। কেননা নিউক্লিয়াস ছাড়া কোষ বেঁচে থাকতে পারে না। এছাড়া নিউক্লিয়াস কোষের সকল প্রকার জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে নিউক্লিয়াসকে কোষের নিয়ন্ত্রকও বলা হয়। নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ক্রোমোজোমে অসংখ্য জিন থাকে, যারা জীবের বংশগতির ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে। জীবের নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতেও এদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই জীবদেহে ন...