Posts

Showing posts from February, 2021

পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র ৫ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

বলের দ্বারা কাজ বলতে কী বুঝায়? উত্তরঃ  কোনো বস্তুর ওপর বল প্রয়োগের ফলে বলের দিকে সরণের উপাংশ থাকলে বলের দ্বারা কাজ বা ধনাত্মক কাজ হয়। বলের দ্বারা কাজের ফলে বস্তুর গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। কোনো বস্তু অভিকর্ষের প্রভাবে নিচে নেমে আসা-বলের দ্বারা কাজের উদাহরণ। বিভবশক্তি ও গতিশক্তি কাকে বলে? উত্তরঃ স্বাভাবিক অবস্থান বা অবস্থা থেকে পরিবর্তন করে কোনো বস্তুকে অন্য কোনো অবস্থান বা অবস্থায় আনলে বস্তু কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে বিভবশক্তি বলে। কোনো গতিশীল বস্তু তার গতির জন্য কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে গতিশক্তি বলে।

হল ক্রিয়া ও হল বিভব পার্থক্য কি?

কোনাে তড়িৎবাহীর প্রবাহের দিকের সাথে অভিলম্ব বরাবর একটি চৌম্বক ক্ষেত্র প্রয়ােগ করলে ঐ প্রবাহ ও চৌম্বক ক্ষেত্র উভয়ের অভিলম্ব অভিমুখে একটি বিভব পার্থক্য সৃষ্টি হয়। এ ক্রিয়াকে বলা হয়  হল ক্রিয়া  এবং সৃষ্ট বিভব পার্থক্যকে বলা হয়  হল বিভব পার্থক্য  বা হল ভােল্টেজ।

স্থির তরঙ্গ কাকে বলে?

কোনো মাধ্যমের একটি সীমিত অংশে সমান বিস্তার ও তরঙ্গদৈর্ঘ্যের দুটি অগ্রগামী তরঙ্গ একই মানের বেগে বিপরীত দিক থেকে অগ্রসর হয়ে একে অপরের ওপর আপতিত হলে যে তরঙ্গের উদ্ভব হয় তাকে  স্থির তরঙ্গ  বলে। স্থির তরঙ্গগুলি প্রথমে ১৮৩১ সালে বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের চোখে পড়েছিল। তিনি একটি স্পন্দনশীল পাত্রের মধ্যে রক্ষিত একটি তরল পদার্থের পৃষ্ঠতলে এই স্থির তরঙ্গগুলি পর্যবেক্ষণ করেন। ১৮৬০ সালের দিকে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রান্‌ৎস মেলডে (জার্মান: Franz Melde) জার্মান ভাষাতে এগুলির নামকরণ করেন "ষ্টেএন্ডে ভেলে" (Stehende Welle) বা "ষ্টেভেলে" (Stehwelle) যার অর্থ দাঁড়ায় "দণ্ডায়মান বা স্থির তরঙ্গ"। মেলডে কম্পনশীল তারের মাধ্যমে সম্পাদিত তাঁর সুপরিচিত পরীক্ষাটিতে স্থির তরঙ্গের ঘটনাটি প্রদর্শন করেন।

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান : শক্তির ব্যবহার

প্রশ্ন-১। শক্তি কী? উত্তর : কাজ করার সামর্থ্য হলো শক্তি। প্রশ্ন-২। শক্তির একক কী? উত্তর : শক্তির একক জুল। প্রশ্ন-৩। শক্তির প্রধান উৎস কী? উত্তর : শক্তির প্রধান উৎস সূর্য। প্রশ্ন-৪। ক্ষমতা কী? উত্তর : কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলে। প্রশ্ন-৫। ক্ষমতার একক কী? উত্তর : ক্ষমতার একক জুল/সেকেন্ড বা ওয়াট। প্রশ্ন-৬। কাজ কাকে বলে? উত্তর : কোনো বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করার ফলে উক্ত বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন হলেই তাকে কাজ বলে। প্রশ্ন-৭। কাজের একক কী? উত্তর : কাজের একক জুল। প্রশ্ন-৮। তাপশক্তি কী? উত্তর : শক্তির যে রূপ আমাদের গরম বা ঠাণ্ডার অনুভূতি জাগায় তাই তাপশক্তি। প্রশ্ন-৯। গতিশক্তি কাকে বলে? উত্তর : কোনো বস্তু তার গতির জন্য কাজ করার যে সামর্থ্য লাভ করে, তা-ই ওই বস্তুর গতিশক্তি। প্রশ্ন-১০। আলোকশক্তি কাকে বলে? উত্তর : কোনো আলোক উৎস থেকে প্রাপ্ত বিকীর্ণ আলো থেকে যে শক্তি পাওয়া যায়, তাকে আলোকশক্তি বলে। প্রশ্ন-১১। রাসায়নিক শক্তি কী? উত্তর : খাদ্য বা জ্বালানিতে যে শক্তি জমা থাকে তা-ই রাসায়নিক শক্তি। প্রশ্ন-১২। নবায়নযোগ্য শক্তি কী? উত্তর : যে শক্তির উৎস অফুরন্ত অর্থাৎ বারবার ব্যবহার করা যায় তাই নবায়নযোগ্য শক্...

দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বোঝায়?

দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বোঝায়? দ্বিপদ নামকরণ বলতে দুটি পদের সমন্বয়ে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নামকরণের পদ্ধতিকে বোঝায়। এই নামকরণ ল্যাটিন বা ইংরেজি ভাষায় করা হয় এবং এর দুটি অংশ থাকে। একটি গণ এবং অপরটি প্রজাতি। প্রকৃতি বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস সর্বপ্রথম দ্বিপদ নামকরণ প্রবর্তন করেন।

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

মোলার আয়তন কাকে বলে? উত্তরঃ এক মোল পরিমাণ কোন গ্যাসীয় পদার্থের আয়তনকে মোলার আয়তন বলে। মোলারিটি কী? উত্তরঃ  স্থির তাপমাত্রায় প্রতি লিটার দ্রবণে দ্রবীভূত দ্রবের গ্রাম আণবিক ভর বা মোল সংখ্যাই হলো ঐ দ্রবণের মোলারিটি। আণবিক সংকেত কাকে বলে? উত্তরঃ  কোনো যৌগের অণুতে কোন কোন মৌল আছে এবং প্রতিটি মৌলের পরমাণুসমূহের প্রকৃত সংখ্যা কত তার সংক্ষিপ্ত প্রকাশকে ঐ যৌগের আণবিক সংকেত বলে। যেমন- বেনজিনের আণবিক সংকেত (C₆H₆), গ্লুকোজের আণবিক সংকেত = (C₆H₁₂O₆) । আণবিক সংকেত = (স্থুল সংকেত)n ( যেখানে , n=1,2,3……. ইত্যাদি)। জারক ও বিজারকের মধ্যে পার্থক্য কি? উত্তরঃ  জারক ও বিজারকের মধ্যে দুটি পার্থক্য তুলে ধরা হলো– ১. যেসব পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হয় তাদের জারক বলে। অন্যদিকে, যেসব পদার্থ ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হয় তাদের বিজারক বলে। ২. জারকের জারণ সংখ্যা হ্রাস পেলেও বিজারকের জারণ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

ওজন ও ভর কেন একই ধরনের রাশি নয়?

ওজন হচ্ছে বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণ বল যা বস্তুটিকে নির্দিষ্ট দিকে আকর্ষণ করে। অর্থাৎ ওজন হচ্ছে ভেক্টর রাশি। অপরদিকে ভর হচ্ছে বস্তুতে মোট পদার্থের পরিমাণ। যার কোনো দিক নেই, তাই ভর স্কেলার রাশি। অতএব, বলা যায় যে ওজন ও ভর একই ধরনের রাশি নয়।

প্রস্বেদন কি? প্রস্বেদন কত প্রকার? প্রস্বেদনের গুরুত্ব

প্রস্বেদন  হলো উদ্ভিদের বিশেষ এক ধরনের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উদ্ভিদের পাতা ও অন্যান্য বায়বীয় অঙ্গ হতে জলীয় বাষ্প বের হয়ে যায়। প্রস্বেদন  তিন  প্রকার। প্রস্বেদনের গুরুত্ব প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার কারণেই উদ্ভিদ মাটি থেকে পানি শোষণ করতে পারে। প্রস্বেদন পাতায় উপযুক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অংশে খাদ্য পরিবহন অব্যাহত থাকে। সালোকসংশ্লেষণের প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রস্বেদন বিশেষ ভূমিকা রাখে।

বায়োমেট্রিক্স (Biometrics) কি? বায়োমেট্রিক্স কত প্রকার ও কি কি?

গ্রীক শব্দ “ metron ” অর্থ পরিমাপ এবং " bio " অর্থ জীবন, এ দু'টি শব্দ থেকে Biometrics শব্দের উৎপত্তি। বায়োমেট্রিক্স হলাে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কোন ব্যক্তির দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা সনাক্ত করা যায়। কম্পিউটার বিজ্ঞানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে ব্যক্তি সনাক্তকরণ এবং কোন সিস্টেমে প্রবেশের অধিকার নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যথা– ক. দেহের গঠন ও শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যের বায়ােমেট্রিক পদ্ধতি ১. ফিংগার প্রিন্ট (Fingerprint) ২. হ্যান্ড জিওমিট্রি (Hand geometry) ৩. আইরিস এবং রেটিনা স্ক্যান (Iris and retina scan) ৪. ফেইস রিকোগনিশন (Face recognition) ৫. ডিএনএ টেস্ট (DNA test) খ. আচরণগত বৈশিষ্ট্যের বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ১. ভয়েস রিকগনিশন (Voice recognition) ২. সিগনেচার ভেরিফিকেশন (Signature verification) ৩. টাইপিং কীস্ট্রোক (Keystroke verification) বায়োমেট্রিক্স এর ব্যবহার বর্তমানে নিরাপত্তার কাজে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব...

ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলতে কী বোঝায়? বিভিন্ন প্রকার ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বর্ণনা করো।

ডাটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ডাটা প্রবাহের দিককে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন— ১) ইউনিকাস্ট (Unicast) ২) ব্রডকাস্ট (Broadcast) ৩) মাল্টিকাস্ট (Multicast) ১) ইউনিকাস্ট (Unicast) : ডাটা ট্রান্সমিশনের এই মোডকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা— ১. Simplex ২. Half Duplex ৩. Full Duplex Simplex : এই প্রক্রিয়ায় শুধু একদিকে ডাটা পাঠানোর ব্যবস্থা থাকে। এ ব্যবস্থায় ডাটা প্রেরণ ও গ্রহণের মধ্যে শুধু একটি ব্যবস্থা সম্ভব। যেমন—A থেকে B এর দিকে ডাটা যেতে পারবে; কিন্তু ই থেকে A এর দিকে আসতে পারবে না। উদাহরণ—PA System, Radio, TV ইত্যাদি। Half Duplex : এ ব্যবস্থায় দুদিক থেকে ডাটা প্রেরণ করতে পারবে, তবে একই সময়ে কেবল ডাটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারবে। ডাটা প্রেরণ ও গ্রহণ একসঙ্গে করতে পারবে না। যে সময় প্রেরণ করবে সে সময় গ্রহণ করতে পারবে না। যেমন—যে সময় অ থেকে ই এর দিকে ডাটা যাবে, সে সময় ই থেকে অ এর দিকে আসতে পারবে না। আবার যে সময় ই থেকে অ এর দিকে ডাটা যাবে, সে সময় অ থেকে ই এর দিকে আসতে পারবে না। উদাহরণ—Walky Talky| Full Duplex : এ ব্যবস্থায় একই সময়ে ...

অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান চতুর্দশ অধ্যায় : পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র

প্রশ্ন-১. ফাইটোপ্ল্যাংকটন কাকে বলে? উত্তর  :  ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক উদ্ভিদকে ফাইটোপ্ল্যাংকটন বলে। প্রশ্ন-২. পরিবেশ কাকে বলে? উত্তর  :  মানুষের আশেপাশের প্রাকৃতিক বা সামাজিক অবস্থাকে পরিবেশ বলে। প্রশ্ন-৩. বাস্তুতন্ত্র কি? উত্তর  :  যেকোনো একটি পরিবেশের অজীব এবং জীব উপাদানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া, আদান-প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবেশে যে তন্ত্র গড়ে উঠে তাই বাস্তুতন্ত্র। প্রশ্ন-৪. তৃণভোজী কাকে বলে? উত্তর  :  প্রথম স্তরের খাদককে তৃণভোজী বলে। প্রশ্ন-৫. বাস্তুতন্ত্রের প্রাণহীন উপাদানগুলো কী নামে পরিচিত? উত্তর  :  বাস্তুতন্ত্রের প্রাণহীন উপাদানগুলো অজীব উপাদান নামে পরিচিত। প্রশ্ন-৬. খাদ্যজাল কাকে বলে? উত্তর  :  খাদ্যশৃঙ্খলের পরস্পরের সম্পর্কযুক্ত সংযুক্তিকে খাদ্যজাল বলে। প্রশ্ন-৭. পরিবেশকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? উত্তর  :  পরিবেশকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রশ্ন-৮. অজীব উপাদান কয় ধরনের? উত্তর  :  অজীব উপাদান দুই ধরনের। প্রশ্ন-৯. ভূমন্ডলের পরিবেশকে কয় ভাগে ভাগ...

G কে সার্বজনীন ধ্রুবক বলা হয় কেন?

G-কে সার্বজনীন ধ্রুবক বলা হয় কারণ G এর মান বস্তুদ্বয়ের মধ্যবর্তী মাধ্যমের প্রকৃতির উপর তথা প্রবেশ্যতা প্রবণতা বা দিকদর্শিতা বা ভৌত অবস্থার উপর নির্ভর করে না। অর্থাৎ G এর মানের পরিবর্তন ঘটে না।

ফ্লোচার্ট (Flowchart) কাকে বলে? ফ্লোচার্ট কত প্রকার ও কি কি?

যে চিত্রের মাধ্যমে কোনো সিস্টেম বা প্রোগ্রাম কীভাবে কাজ করবে তার গতিধারা নির্দেশ করা হয়, তাকে  ফ্লোচার্ট বা প্রবাহচিত্র  বলে। ফ্লোচার্ট হচ্ছে অ্যালগরিদমের চিত্ররূপ। অ্যালগরিদমের ধাপ চিত্র আকারে তুলে ধরাই হচ্ছে ফ্লোচার্ট। ফ্লোচার্ট হলো কতকগুলো ছবি বা চিত্র, যা থেকে সমস্যা সমাধান করতে হলে পর পর কীভাবে অগ্রসর হতে হয় তা বুঝা যায়। ফ্লোচার্ট দেখেই বুঝা যায় প্রোগ্রামের ধাপগুলো কীভাবে বিন্যস্ত ও প্রবাহিত হচ্ছে। ছোট ছোট প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ফ্লোচার্টের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু যদি প্রোগ্রামটি অনেক বড় হয় তবে অবশ্যই ফ্লোচার্ট অঙ্কন করতে হয়। এতে ফ্লোচার্ট থেকে প্রোগ্রাম রচনা সহজ হয়। ফ্লোচার্টের প্রকারভেদ ফ্লোচার্ট দুই প্রকার। যথা– (i) প্রোগ্রাম ফ্লোচার্ট (Program flow chart) (ii) সিস্টেম ফ্লোচার্ট (System flow chart) ফ্লোচার্ট আকার নিয়ম নিচে ফ্লোচার্ট আকার জন্যে প্রয়ােজনীয় নিয়মগুলো দেওয়া হল– ফ্লোচার্টের প্রবাহ উপর থেকে নিচে অথবা ডান থেকে বাম দিকে হবে। প্রবাহ রেখা দ্বারা কোন চিহ্নের পর কোন চিহ্নের কাজ হবে তা নির্দেশ করতে হবে। চিহ্ন ছােট বড় হলে সমস্যা নেই, কিন্তু নির্দিষ্ট আকৃতি ঠি...

৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। পরিমাপ কী? উত্তরঃ  কোনো কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করাই হলো পরিমাপ। প্রশ্ন-২। SI এর পূর্ণরূপ কি? উত্তরঃ  SI এর পূর্ণরূপ হলো— International System of Unit। প্রশ্ন-৩। কত সালে পরিমাপের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি চালু হয়? উত্তরঃ  ১৯৬০ সালে পরিমাপের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি চালু হয়। প্রশ্ন-৪। ক্ষেত্রফলের একক যৌগিক একক ব্যাখ্যা করো। উত্তরঃ  যৌগিক একক দুই বা ততোধিক এককের সমন্বয়ে পাওয়া যায়। ক্ষেত্রফলের একক হলো দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের এককের গুণফল। তাই ক্ষেত্রফলের একক যৌগিক একক। প্রশ্ন-৫। সিজিএস ও এসআই পদ্ধতির মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ। উত্তরঃ  সিজিএস ও এসআই পদ্ধতির মধ্যে দুটি পার্থক্য হলো— i. সিজিএস পদ্ধতি হলো পরিমাপের সনাতন পদ্ধতি আর এসআই পদ্ধতি হলো পরিমাপের আধুনিক পদ্ধতি। ii. সিজিএস পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্যের একক সেন্টিমিটার কিন্তু এসআই পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্যের একক মিটার। প্রশ্ন-৬। পরিমাপের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রফল ও আয়তনের মূল পার্থক্য কোথায়? উত্তরঃ পরিমাপের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রফল ও আয়তনের মূল পার্থক্য হলো এককের ব্যবহারে। আমরা জানি, ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য × প্রস্থ আবার, আয়তন = দৈর্ঘ্য ...

CFC কি? সিএফসি (CFC) এর ব্যবহার।

CFC এর পূর্ণরূপ হলো Chloro Flouro Carbon. যার বাণিজ্যিক নাম ফ্রিয়ন। সিএফসি (CFC) এর ব্যবহার CFC এর ব্যবহার নিচে তুলে ধরা হলো– i. স্ফুটনাঙ্ক কম হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের হিমকারক (AC, ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর প্রভৃতি) যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়। ii. তরল প্রসাধনীর স্প্রে হিসেবে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। iii. কীটনাশক ও পোকামাকড় দমনের বিষাক্ত দ্রবণ তৈরিতে দ্রাবক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। iv. ফোম জাতীয় পদার্থকে ফাঁপিয়ে তোলার কাজে ব্যবহার করা হয়। v. ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি পরিষ্কারের দ্রাবকরূপে ব্যবহার করা হয়। vi. খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের কাজেও এদের ব্যবহার করা হয়।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic engineering) কি?

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং  হচ্ছে কোনাে প্রাণী বা উদ্ভিদ কোষে নতুন ডিএনএ (DNA) সংযােজন করার কৌশল বা পদ্ধতি। জিন প্রাণীর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রচেষ্টা অধিকাংশে কৃষির উপর জোরদার করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিকূল আবহাওয়ায় পােকা, রােগ, ছত্রাক ইত্যাদি প্রতিরােধী উদ্ভিদ জন্মাতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা মানুষ যেমন উপকার পাচ্ছে তেমনি অনেক বিজ্ঞানীর মতে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অনেক নতুন রােগ জীবাণুর জন্ম হতে পারে। বিজ্ঞান চর্চার প্রাথমিক যুগের সূচনা ঘটেছিল গণিত চর্চার মধ্য দিয়ে। মধ্যযুগে তা পদার্থবিদ্যার বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। ধীরে ধীরে নিউটন, গ্যালিলিও, আইনস্টাইন, বােরের তত্ত্ব একে আধুনিক যুগে নিয়ে আসে। কিন্তু ১৯২০-এর আবিষ্কারের ধারা কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তখন বিজ্ঞানীরা ঝুঁকতে থাকে পরিবেশ, পৃথিবী, মানুষ, জীবজগৎ নিয়ে গবেষণার দিকে। বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীকে তাই নিঃসন্দেহে বলা হচ্ছে The Century of Biological Science। এর কারণ ১৮৭২ সালে পল বার্গের রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনােলজি বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর আবিষ্কা...

কম্পিউটার ভাইরাস কি? কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি?

কম্পিউটার ভাইরাস  হল কম্পিউটারের এক ধরনের প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারির অনুমতি বা ধারনা ছাড়াই নিজেই নিজের প্রতিরূপ তৈরি করতে পারে এবং ক্ষতিসাধন করতে পারে। কম্পিউটার ভাইরাসের প্রকারভেদ কম্পিউটার ভাইরাস  দুই  প্রকার। যথা– নিবাসী ভাইরাস (Resident Virus) অনিবাসী ভাইরাস (Non-Resident Virus)। ১. নিবাসী ভাইরাস :  নিবাসী ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা সক্রিয় হয়ে ওঠার পর মেমোরিতে স্থায়ীভাবে অবস্থান নেয় এবং যখনই অন্য কোনো প্রোগ্রাম চালু হয় তখনই সেই প্রোগ্রামকে সংক্রমিত করে। ২. অনিবাসী ভাইরাস :  অনিবাসী ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা সক্রিয় হয়ে ওঠার পর, অন্যান্য কোন কোন প্রোগ্রামকে সংক্রমণ করা যায় সেটি খুঁজে বের করে, সংক্রমণ করার পর মূল প্রোগ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণ দিয়ে নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যম ও প্রতিরোধের উপায়। ভাইরাস নিজে নিজে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে নিম্নলিখিত কারণে সংক্রমিত হতে পারে। যথা– ফ্লপি ডিস্ক, হার্ডডিস্ক বা অন্য কোনো ডিস্কের মাধ্যমে প্রোগ্রাম বা ডেটা আদান-প্রদান হলে। পাইরেটেড সফটওয়্য...

ব্যান্ডউইথ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী?

একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন চ্যানেল দিয়ে যে পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হয় তার পরিমাণকে ব্যান্ডউইথ হিসেবে পরিমাপ করা হয়। ডেটা ট্রান্সমিশন-এর একককে bps (bit per second)-এ হিসাব করা হয়। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা বিট স্থানান্তরিত হয় তাকে bps বলে। এটিকে Band বা Bandwidth বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট সার্ভিসের স্পিড বুঝাতে ব্যান্ডউইথ হিসাব ব্যবহৃত হয়। উচ্চ-ব্যান্ডউইথ হলে দ্রুতগতির সার্ভিস পাওয়া যায়। ডায়াল-আপ ইন্টারনেট সার্ভিস হলো কম-ব্যান্ডউইথ (low-bandwidth) কানেকশন। ব্রডব্যান্ড যেমন, ডিএসএল, ক্যাবল এবং স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সার্ভিস হলো উচ্চ-ব্যান্ডউইথ (high-bandwidth) কানেকশন। অনেক ডিএসএল সার্ভিস প্রোভাইডাররা উচ্চ-ব্যান্ডউইথ যেমন ৭৬৮ কেবিপিএস বা তার চেয়েও বেশি অফার করে। ক্যাবল ইন্টারনেট সার্ভিস শুরু হয় ১ এমবিপিএস দিয়ে এবং ৩০ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিড দিয়ে থাকে। উচ্চ ব্যান্ডউইথ ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে অনেক বেশি ডেটা দ্রুত সময়ে ডাউনলোড ও আপলোড করা যায়, ইন্টারনেটে স্বাচ্ছন্দ্য ভিডিও দেখা যায় এবং অডিও শোনা যায়। ব্যান্ডউইথ এর প্রকারভেদ ডেটা ট্রান্সফার গতির উপর ভিত্তি করে ব্যান্ডউইথকে তিন ভা...

প্রভাবক বিষ ও প্রভাবক সহায়ক কাকে বলে?

প্রভাবক বিষ : যেসব রাসায়নিক পদার্থ প্রভাবকের ক্ষমতা হ্রাস করে ঐসব রাসায়নিক পদার্থকে প্রভাবক বিষ বলে। যেমনঃ সালফার ডাই অক্সাইড থেকে সালফার ট্রাই অক্সাইডে রূপান্তরের সময় প্রভাবক হিসাবে প্লাটিনাম ব্যবহার করা হয়। তবে প্লাটিনামের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ আর্সেনিক অক্সাইড (As₂O₃) যুক্ত করলে প্লাটিনামের প্রভাবন ক্ষমতা হ্রাস পায়। এখানে আর্সেনিক অক্সাইড প্রভাবক বিষ হিসেবে কাজ করে। প্রভাবক সহায়ক : যেসব রাসায়নিক পদার্থ প্রভাবকের ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে পারে তাদেরকে প্রভাবক সহায়ক বলে। যেমনঃ অ্যামোনিয়া উৎপাদন কালে প্রভাবক হিসেবে আয়রন ব্যবহার করা হয়। তবে প্রভাবক আয়রন (Fe) এর সাথে কিছু পরিমাণ মলিবডেনাম (Mo) ধাতুর গুড়া যোগ করা হলে আয়রনের প্রভাবন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে মলিবডেনাম ধাতু প্রভাবক সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিছু প্রভাবক সহায়ক হচ্ছে ( Al₂O₃ ; Cr₂O₃ ; Mo) ইত্যাদি।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কাকে বলে? অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা ও অসুবিধা।

যে পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে ডেটা গ্রাহক কম্পিউটারে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় তাকে  অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন  (Asynchronous Transmission) বলে। এক্ষেত্রে প্রেরক কম্পিউটার ডেটা ট্রান্সমিট করার ঠিক আগের মুহূর্তে ডেটা ক্যাবল বা মিডিয়াতে একটি একক স্টার্ট (Start) বিট ছেড়ে দেয়। প্রাপক কম্পিউটার যে মুহুর্তে স্টার্ট বিটের উপস্থিতি টের পায়, তখন সে তার অভ্যন্তরীণ ঘড়িটি (Clock) চালু করে দেয়। প্রেরক কম্পিউটার থেকে কোন প্রকার স্টপ বিট না পাওয়া গেলে এ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। অ্যাসিনক্রোনাস পদ্ধতিতে ৮ বিটের ক্যারেক্টার ডেটাকে ট্রান্সমিশনের পূর্বে তার সম্মুখে একটি স্টার্ট বিট এবং শেষে একটি বা দু'টি স্টপ বিট সংযুক্ত হয়ে প্রতিটি ক্যারেক্টার ১০ অথবা ১১ বিটের ডেটায় রূপান্তরিত হয়ে ট্রান্সমিট হয়। অল্প করে ডেটা পরিবহনের দরকার পড়ে এমন পরিবেশে যেমন, ইন্টারনেটে এ পদ্ধতি বেশি উপযোগী। এতে প্রেরকের কোন প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না। পর পর দুটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিটের মাঝের বিরতি সময় সমান হয় না। অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের বৈশিষ্ট্যাবলি/সুবিধাসমূহ কাছাকাছি কম করে ডেটা ট্রান্স...